বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৩

সরকারের প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছয় হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট অর্জন সম্ভব হয়েছে

কিশোরগঞ্জ পাতা ঃ রোববার সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয় বর্তমান সরকারের আমলে মাত্র চার বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারি  থেকে এ পর্যন্ত মোট তিন হাজার ৮৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা নয় হাজার ১৫১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। 

সরকারের প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছয় হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট অর্জন সম্ভব হয়েছে এবং বর্তমানে ৬০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ-সুবিধা প্রাপ্তির আওতায় এসেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে বিদ্যুৎ খাতে এ অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল তিন হাজার ২৬৮ মেগাওয়াট, ২০১২ সাল নাগাদ এর সঙ্গে আরও যোগ হয় প্রায় তিন হাজার ৮৪৫ মেগাওয়াট। 
নতুন ৫৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে তা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ২৭টি নতুন কেন্দ্র নির্মাণাধীন, যাতে উৎপাদন হবে পাঁচ হাজার ৪৩৭ মেগাওয়াট এবং টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন ১৫টি কেন্দ্র হতে উৎপাদন হবে আরও তিন হাজার ২৯৬ মেগাওয়াট। 
বিবরণীতে আরও বলা হয়, ইতিমধ্যে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান প্রণীত হয়েছে, যাতে ২০২০ সালে ২২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সাল নাগাদ ৩৯ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আন্তদেশীয় সহযোগিতার মাধ্যমে ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমার থেকে বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নির্মিত হবে আট হাজার ৯৪৯ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন এবং দুই লাখ ৮১ হাজার ১২৩ কিলোমিটার বিতরণ লাইন। 
অ্যানালগ মিটার পরিবর্তন করে ডিজিটাল মিটার প্রবর্তন করা হয়েছে। সিস্টেম লস সিঙ্গেল ডিজিটে আনার লক্ষ্যে স্মার্ট প্রি-প্রেইড মিটার সংযোজন কার্যক্রমের আওতায় ৫৬ হাজার ৪১৬টি প্রি-প্রেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়নের আওতায় ২৬ হাজার ৫০২ কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণ করা হয়েছে এবং ১৯ লাখ ৮৯ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ১০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৪৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন