বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৩

কিশোরগঞ্জে মঞ্চ দখল নিয়ে এলজিআরডি মন্ত্রীর উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ঘুষাঘুষি

শুভ সি এইচ দেব হোসেনপুর থেকে, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে নবনির্মিত আসাদুজ্জামান খাঁন অডিটরিয়ামে ইফতার মাহফিলে এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের উপস্থিতিইে হাতা-হাতি, ঘুষা-ঘুষিতে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় ছাত্রলীগের বিবাদমান দু’ গ্রুপ।

এ ঘটনায় এক গ্রুপের বাবুল, রায়হান অপর গ্রুপের ফখরুদ্দীন ও মোখলেছ সহ অন্তত ৬-৭ জন  লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতঃপর মন্ত্রীর নির্দেশেই সিনিয়র নেতারা বিবাদমান দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল থেকে বের করে দেয়।

এ সময় অডিটরিয়ামের সামনে দু’গ্রুপের কর্মীসমর্থকদের মধ্যে বেশ কিছুসময় ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে। যেকোন সময় তাদের মধ্যে আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্খা করছে অনেকে।


প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে- হোসেনপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ঢেকিয়া মহল্লায় নবনির্মিত আসাদুজ্জামান খাঁন অডিটরিয়াম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে অডিটরিয়ামে আসেন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এ অডিটরিয়ামেই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ। উদ্বোধন শেষে অডিটরিয়ামে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বসেন।

এসময় মঞ্চে বসা নিয়ে থানা ছাত্রলীগের অপু-বিপুল গ্রুপ এবং আহাদ-টুটুল গ্রুপ বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে এই গ্রুপের বাবুল মিয়া সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী মঞ্চে উঠে নেতৃত্ব জাহির ও হৈ-হোল্লা শুরু করেন। এসময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের বাবুলকে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলে। এ নিয়ে মন্ত্রীর সামনেই দু’গ্রুপের কর্মী সমর্থকরা হাতা-হাতি ও ঘুষা-ঘুষি শুরু করেন।

এ সময় পুলিশ অডিটরিয়ামের বাইরে দাড়িয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। পরে মন্ত্রীর নির্দেশে স্থানীয় সিনিয়র নেতারা বিবাদমান দু’গ্রুপের কর্মীসমর্থকদের  ইফতার মাহফিল থেকে বের করে দেন।

হোসেনপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আল-আমিন অপুর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি কিশোরগঞ্জ পাতাকে বলেন, আমি সভাপতি হয়েও মঞ্চে যেতে পারিনি। অথচ  আমার বিদ্রোহী গ্রুপ মঞ্চে ওঠে আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। এ নিয়ে কর্মীসর্থকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির হয়েছে। তবে কেউ লাঞ্ছিত হয়নি।

বিদ্রোহী গ্রুপ নেতা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দাবিদার আনোয়ার হোসেন টুটুল মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনিও কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির কথা স্বীকার করে  তিনি কিশোরগঞ্জ পাতাকে বলেন, হোসেনপুর থানা ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে র্দীঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মন্ত্রীর ইফতার পার্টির মঞ্চে আমরা  ওঠতে গেলে ওরা বাধা দেয়। পরে মন্ত্রীর নির্দেশে স্থানীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উভয় গ্রুপের দু’জন করে মঞ্চে থাকার আপোষ করে দিলেও অপু-বিপুল গ্রুপ মানেনি। তারা অডিটরিয়ামের বাহিরে গিয়ে দল পাকিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। কে থাকবে এ নিয়ে অপর গ্রুপের সাখে  দখল করতে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটে।


এ ব্যাপারে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোশারফ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছুই শুনেনি বলে জানান।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন