বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৩

৪৮ ঘণ্টার টানা হরতাল কর্মসূচি এক দিন পিছিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। ১২ ও ১৩ আগস্টের পরিবর্তে এখন হরতাল ডাকা হয়েছে ১৩ ও ১৪ আগস্ট মঙ্গল ও বুধবার..................

কিশোরগঞ্জ পাতাঃ ৪৮ ঘণ্টার টানা হরতাল কর্মসূচি এক দিন পিছিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। ১২ ও ১৩ আগস্টের পরিবর্তে এখন হরতাল ডাকা হয়েছে ১৩ ও ১৪ আগস্ট মঙ্গল ও বুধবার। মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের ছুটির পরপরই এই হরতাল ডাকায় দেশব্যাপী সমালোচনা মুখে হরতাল একদিন পিছিয়েছে ।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান গতকাল মঙ্গলবার বিবৃতিতে হরতাল এক দিন পেছানোর ঘোষণা দিয়ে দাবি করেন, ঈদের ছুটির পর মানুষের কর্মস্থলে ফিরে আসার কথা বিবেচনা করে কর্মসূচি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে ইতিমধ্যে এই হরতালের কারণে পরিজনের সঙ্গে মিলে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যাওয়া মানুষেরা নিজেদের সফরসূচি ঠিক করে নিয়েছে। অনেকে অগ্রিম কেনা টিকিট ফেরত দিয়েছে । এখন হরতাল আবার এক দিন পেছানোতে নতুন করে বিড়ম্বনায় পড়েছে মানুষ। অনেকে শহরের কর্মস্থলে ফেরার দুশ্চিন্তায় পরিবারসহ বাড়ি যাওয়ার দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন।
‘জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র, দলের নেতাদের হত্যার চক্রান্ত ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য সরকার পরিকল্পনা করছে’—এমন দাবি করে তার প্রতিবাদে এই হরতাল ডাকা হয়। 
গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিলে ওই দিনই দলটি এই হরতালের কর্মসূচি দেয়।
তখনো জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান একটি বিবৃতি দিয়ে হরতালের ডাক দেন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ রায়ের মাধ্যমে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটেছে। ...পবিত্র রমজান মাসের শেষ দিকে এসে মহামান্য হাইকোর্টের ছুটির ঠিক আগের দিন আদালত চলার সর্বশেষ মুহূর্তে এই মামলার রায় ঘোষণা একটি গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।’ একজন আইনজীবী আদালতে এই বিবৃতি উপস্থাপন করলে গত সোমবার হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার রুল জারির পাশাপাশি রফিকুল ইসলাম খান ও দলের প্রচার বিভাগের মো. ইব্রাহিমকে তলব করেন।
গতকালের বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ৮৬ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করায় সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা গণ-আন্দোলন যেন তীব্র রূপ লাভ করতে না পারে, এ জন্য পরিকল্পিতভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন